বন্ধবন্ধুর মূল লক্ষ্য ছিল নিপীড়িত মানুষের মুক্তি : কুবি উপাচার্য

কুবি প্রতিনিধি:

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আব্দুল মঈন বলেন, বন্ধবন্ধু একজন ব্যক্তি নয় একটি আদর্শের নাম। যার মূল লক্ষ্য ছিল নিপীড়িত মানুষের মুক্তি দেওয়া এবং একটি স্বাধীন দেশ প্রতিষ্ঠা করা। বন্ধুবন্ধু হত্যার পর যে প্রতিবাদ হয়েছে তা আরো বড় পরিসরে হতে পারতো। ৭৫ সালের শোককে আমাদের শক্তিতে রূপান্তর করতে এবং অপশক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ৩০ আগস্ট “শোকের আগস্ট, শপথের আগস্ট” শীর্ষক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান আলোচকের বক্তব্যে উপাচার্য এসব কথা বলেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু পরিষদের আয়োজনে বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. জাহিদ হাসানের সঞ্চালনায় বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি কাজী ওমর সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। প্রধান আলোচক হিসেবে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন, বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আ ব ম ফারুক।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, জিয়া যে বঙ্গবন্ধুর খুনি তা প্রমাণের জন্য রকেট সাইন্সের প্রয়োজন নেই। বন্ধুবন্ধুকে হত্যার পর জিয়া কোন মামলা করতে দেয়নি। জিয়া কোন বিচার করেনি। বরং বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিলাসী জীবনের ব্যবস্থা করেছে। আমাদের দেশে ভালো কাজের জন্য মরণোত্তর পুরষ্কার দেওয়া হয়। তাই খারাপ কাজের জন্য মরণোত্তর শাস্তিও দেওয়া উচিত। জিয়া বঙ্গবন্ধু হত্যার সাথে জড়িত। তাই আমি তার মরণোত্তর শাস্তি দাবী করছি। জিয়ার সময় কোনো আইনের শাসন ছিল না। আর আজ আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হয়েছে। আজ মানুষ বিশ্বাস করতে শুরু করেছে আমি অপরাধ করলে শাস্তি পেতে হবে।

উদ্বোধনী বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ড. এ এস মালেক বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার সাথে সরাসরি জড়িত জিয়াউর রহমান, সে একজন কিলার। সে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ধামাচাপা দিয়ে মানুষকে শান্ত রেখেছে। জিয়া জাতীয় চার নেতার হত্যার সাথেও সরাসরি জড়িত।

ভার্চুয়াল এ আলোচনা সভায় যুক্ত হয়েছেন রেজিস্ট্রার, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, হল প্রাধ্যক্ষ, বিভাগীয় প্রধান, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ বিভিন্ন হলের নেতৃবৃন্দ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *