কুয়েট কর্তৃপক্ষ আজ বিকেল চারটার মধ্যে আবাসিক ছাত্রছাত্রীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেয়। এ নির্দেশের পর হল ছেড়ে যান শিক্ষার্থীরা। খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা, ৩ ডিসেম্বর।
কক্সবাজার যেতে হবে ইসিই ডিপার্টমেন্টের তাসমিমুল হুদার।আজকের কোনো বাসের টিকেট পায় নাই,আগামীকাল যেতে হবে। আজকে রাতে বাইরে বাইরে ঘুরে বেড়াতে হবে সেই চিন্তায় কান্নায় ভেঙে পড়ে তাসমিম। কুয়েটের ছাত্র মেহেদী হাসান সরকার প্রফেশনাল ফ্রিল্যান্সার।ঢাকা যেতে পারছে না। আজকে মিটিং না করতে পারলে,৩৬০০ ডলারের ক্লাইন্ট হাতছাড়া হবে।
মাসুম আহমেদ সীমান্ত এলাকা কুড়িগ্রামের ছেলে। এতো টাকা লাগছে, হুট করে হাতে টাকাও নাই টিকেট কাটার।
জান্নাতুল ফেরদৌসি জানায়,৩ ঘণ্টার নোটিশে হল ছাড়লাম!এইটা বিশ্বাস করতে কি এখন আমার ৩ বছর লাগবে।
আজ শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৮তম জরুরি সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক কুয়েট বন্ধ ঘোষণার পরই হল ছাড়তে শুরু করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইইই বিভাগের অধ্যাপক মো. সেলিম হোসেনের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আবাসিক হল ছাড়ছেন শিক্ষার্থীরা। আজ বিকেল চারটার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ছবিঃ টিকেট না পেয়ে ট্রেনে দাঁড়িয়ে যাচ্ছে শিক্ষার্থী।
আজ শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৮তম জরুরি সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক কুয়েট বন্ধ ঘোষণার পরই হল ছাড়তে শুরু করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। আজ থেকে ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
তবে হঠাৎ হল ছাড়ার নির্দেশনায় ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করার পরপরই দুপুর থেকে ক্যাম্পাস ছাড়তে শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। বাস বা ট্রেনের টিকিট পাওয়া নিয়ে অনেকের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়।
গত অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে ক্যাম্পাস খোলার কিছুদিনের মধ্যে আবার বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করায় পিছিয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন অনেক শিক্ষার্থী।
আজ দুপুরে কুয়েটের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. আনিসুর রহমান ভূঁঞা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ‘খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৮তম জরুরি সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইইই বিভাগের অধ্যাপক মো. সেলিম হোসেনের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কার কারণে ৩ ডিসেম্বর থেকে ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হলো। একই সঙ্গে আজ বিকেল চারটার মধ্যে আবাসিক ছাত্রছাত্রীদের হলগুলো ত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হলো।’
সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত কীভাবে দেখছেন জানতে চাইলে কুয়েট শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রতীক চন্দ্র বিশ্বাস দৈনিক-৭১ কে বলেন, ‘সিন্ডিকেট থেকে যেসব সিদ্ধান্ত এসেছে, তা দেখে বুঝলাম, শিক্ষকদের রিলেটেড কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। তাই আমাদের দাবি মানা হয়েছে কি না, সে বিষয়ে পর্যালোচনা করার মতো কিছু আসেনি। আজকের সিদ্ধান্তটা সম্পূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং হলকেন্দ্রিক সিদ্ধান্ত। ফলে আমাদের সাধারণ সভায় আগে যেসব সিদ্ধান্ত হয়েছিল, সেগুলোই বহাল থাকছে। শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভা ব্যতীত আমাদের অবস্থান পরিবর্তনের কোনো সুযোগ নেই।’