সূত্র জানায়, ইতোমধ্যে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের (বিএআরসি) পক্ষ থেকে এ বিষয়ক একটি প্রস্তাবনা কৃষি মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে প্রস্তাবনাটি তুলে ধরার পর কৃষিজমি রক্ষায় কার্যক্রম শুরু হবে।
শস্য উৎপাদন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বছরের পর বছর এভাবে কৃষিজমি কমতে থাকলে সংকটে পড়তে পারে দেশ। এসব জমি রক্ষায় এখনই পদক্ষেপ না নিলে অনেক উর্বর জমিও হারাতে হতে পারে।
বিএআরসির শস্য বিভাগের সদস্য পরিচালক ড. মো. আজিজ জিলানী চৌধুরী ঢাকা পোস্টকে বলেন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে দেশের এক ফসলি, দুই ফসলি ও তিন ফসলি জমি চিহ্নিত করে তা রক্ষার জন্যে সমন্বিত প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রশাসন শাখা জানায়, প্রস্তাবনাটি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানোর পর যে নির্দেশনা আসে সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। গত ২৯ সেপ্টেম্বর কৃষি মন্ত্রণালয়ের মাসিক অভ্যন্তরীণ সমন্বয় সভায় বিএআরসিকে প্রস্তাবনাটি পাঠাতে বলা হয়। ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম।
প্রস্তাবনায় কী কী বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে- জানতে চাইলে ড. মো. আজিজ জিলানী চৌধুরী ঢাকা পোস্টকে বলেন, উচ্চ ফলনশীল জাত সম্প্রসারণ, উচ্চ মূল্যের ফসল চাষে কৃষককে আগ্রহী করে তোলা, কৃষক যেন ফসলের ন্যায্য দাম পান, বাজারজাত পরিস্থিতি উন্নত করা, ফসল চাষ করে কৃষক যেন ক্ষতির মুখে না পড়েন এসব বিষয়কে বেশি অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।
এ কৃষি বিজ্ঞানী বলেন, অনেক সময় কৃষক ফসল বিক্রি করতে পারেন না, তারা হতাশ হয়ে পড়েন। এসব কারণে কৃষক ফসলের আবাদ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন। কৃষককে যদি আমরা লাভবান করতে পারি তাহলে ওই কৃষক কৃষিজমি বিক্রি করতে চাইবেন না।