সমাজের প্রতিটি স্তরে নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে ভালুকার “সেভ দ্যা লাইফ উইম্যান কো- অপারেটিভ সোসাইটি লি: ” দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছে। এই সংস্থার মাধ্যমে অনুপ্রাণিত হয়ে নিজের ভাগ্য পরিবর্তন করেছেন হালিমা খাতুন।
সংকটের শুরু
হালিমা খাতুন একসময় আর্থিক সংকটে ছিলেন। স্বামী দিনমজুর, সংসার চালানো ছিল কষ্টকর। কিন্তু তিনি কখনও হাল ছাড়েননি। কিছু একটা করার ইচ্ছা ছিল প্রবল।
সেভ দ্যা লাইফ উইম্যানের সহায়তা
এই কঠিন সময়ে হালিমা জানতে পারেন “সেভ দ্যা লাইফ উইম্যান কো- অপারেটিভ সোসাইটি লি: -এর উদ্যোগের কথা। তিনি সেখানে হস্ত ও কুটির শিল্পে প্রশিক্ষণ নেন। এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তিনি দক্ষতা অর্জন করেন এবং নিজের পায়ে দাঁড়ানোর আত্মবিশ্বাস পান।
সফলতার গল্প
প্রশিক্ষণ শেষে হালিমা সংস্থাটির কাছ থেকে স্বল্প সুদে ঋণ গ্রহণ করেন। সেই অর্থ দিয়ে তিনি একটি ক্ষুদ্র ব্যবসা শুরু করেন, যেখানে তিনি হাতে তৈরি সামগ্রী বিক্রি করতে থাকেন। ধীরে ধীরে তার ব্যবসা বড় হতে থাকে, এবং তিনি আরও নারীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেন।
আজকের হালিমা
আজ হালিমা শুধু নিজের স্বাবলম্বিতা অর্জন করেননি, বরং নিজের গ্রামের অনেক নারীকেও কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিয়েছেন। তার জীবন এখন স্বচ্ছল, তিনি স্বামী ও সন্তানকে নিয়ে সুখে আছেন।
নারীর ক্ষমতায়নের অনন্য দৃষ্টান্ত
হালিমার এই যাত্রা প্রমাণ করে যে সঠিক সুযোগ পেলে নারীরাও নিজেদের ভাগ্য বদলাতে পারেন। “সেভ দ্যা লাইফ উইম্যান কো-অপারেটিভ সোসাইটি লি: ” তার জীবনে আশার আলো হয়ে এসেছে, আর আজ তিনি সেই আলো অন্য নারীদের মধ্যেও ছড়িয়ে দিচ্ছেন।