দেশের অবহেলিত এক ফলের নাম কাঠাল। অসীম উপকারি এই কাঠাল নিয়ে নেই কোনো আমেজ।কাঠালের বাগান করার চর্চাও কমে যাচ্ছে বহুগুণে।
এমন এক সময়ে বিজ্ঞানী ফেরদৌস চৌধূরী উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণা আমেরিকাতে শেষ করে দেশে ফিরে এসে দেশ সেবায় যোগ দেন বাংলাদেশ এগ্রিকালচার রিসার্চ ইন্সটিটিউট(বারি)তে। তিনি দেখেন কাঠাল গাছের নিচেই প্রতি বছর প্রায় ৫০০ টন কাঠাল নষ্ট হয়। তিনি সারাদেশের কাঠালের অবস্থা জানতে চষে বেড়িয়েছেন সারাদেশে।
এই অবহেলিত ফলটা আমেরিকাতে এক কেজি পরিমাণ কিনতে প্রায় ২০০০ টাকা খরচ করতে হতো সেই ফলটার এই বেহাল দশা ভাবিয়ে তুলেন ফেরদৌস চৌধূরিকে। পোস্ট হার্ভেস্ট টেকনোলজির ল্যাবে দুই বছর কাটিয়েছেন তার গবেষণায়।
অবশেষে তিনি বের করতে পেরেছেন কাঠাল রক্ষার উপায়। কাঠালকে শুধু পাকলে ফল হিসেবে খাওয়া যায়,এই ধারনা থেকে বের হয়ে এসে তিনি নিয়ে আসেন বহুমাত্রিক ব্যাবহার। বিভিন্ন প্রক্রিয়া অবলম্বন করে, কাঠালকে রেডি টু কুক, রেডি টু ইট আইটেমে পরিনত করেন। বাক্সে বন্দি করেও দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করে রাখা যায় কাঠালকে। কাঠালের চিপস,আচার,চাটনি,জুস এমনসব নানাবিধ আইটেম ল্যাবে তৈরি হলো।
এই খবর ছড়িয়ে গেলে সারাদেশ থেকে অনেক উদ্যোক্তারা চলে আসলেন হাতে কলমে শিক্ষা নিতে। সারাদেশে চললো প্রশিক্ষণ কার্যক্রম। বড় বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান গুলোও আগ্রহী হয়ে যোগাযোগ করলো উনার সাথে।
সারা দেশে বাগান করা হচ্ছে, এক সময় এই কাঠালকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠবে অনেক শিল্প প্রতিষ্ঠান। নতুন নতুন পণ্য আসবে আর সেগুলো বিদেশে রপ্তানি করে আয় হবে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা। সে সময়েরই স্বপ্ন দেখছেন বিজ্ঞানী ফেরদৌস চৌধূরী।
কাঠাল যে সম্ভাবনাময় একটি ফল সেটি প্রমাণ হওয়া এখন সময়ের ব্যপার মাত্র। আর এই বিপ্লব শুরু করতে যিনি সামনে থেকে কাজ করছেন সেই ফেরদৌস চৌধূরীর প্রতি শ্রদ্ধা।