যথাযথ ভাবগাম্ভীর্যের সাথে কুবিতে শোক দিবস পালিত

কুবি প্রতিনিধি:

পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যথাযথ ভাবগম্ভীর্যের সাথে জাতীয় শোক দিবস পালন করেছে। সোমবার (১৫ আগস্ট) জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ ও কালো পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিনটি শুরু হয়।

পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী কালো ব্যাজ ধারণ করে সকাল পৌনে ১০ টায় র‍্যালি করা হয়। এ র‍্যালি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদিক্ষন করে বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্যের সামনে এসে উপস্থিত হয়। র‍্যালি শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্যের পাদদেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের পক্ষ থেকে, বিভিন্ন বিভাগ, হল ও সংগঠন পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের ৪১১ নম্বর রুমে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভা শেষে বাদ জোহর কোরআন খতম, মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

 

আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. দুলাল চন্দ্র নন্দীর সভাপতিত্বে ও শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. মোকাদ্দেস-উল-ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন। এছাড়া বিশেষ অথিতি হিসেবে ছিলেন উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান।

 

বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান তার বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ মুখে প্রচার করার বিষয় নয়, এটা লালন ও অনুধাবন করার বিষয়। আদর্শ মনে লালন ও অনুধাবন করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা থাকুক হৃদয়ে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির তার বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধু ধাপে ধাপে বাঙালিকে তৈরি করেছেন। বঙ্গবন্ধু রাইফেলের সামনে নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেছেন। বঙ্গবন্ধু আর যদি ১০ বছর বেঁচে থাকতে পারতেন তাহলে আমরা সেই সময়েই উন্নয়নশীল পার করে উন্নত দেশে পরিণত হতে পারতাম। আমরা শোককে শক্তিতে পরিণত করব। নিজেকে পরীক্ষিত বঙ্গবন্ধুর সৈনিক হিসেবে গড়ে তুলব। মানবপ্রেমে উজ্জীবিত হওয়াই হোক আমাদের প্রধান অঙ্গিকার।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন তাঁর বক্তব্যে বলেন, আজকের এই দিনে আমরা হারিয়েছি আমাদের জাতির পিতাকে। ৭৫ এ বঙ্গবন্ধুকে মারার পরে একটি আদর্শকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা চাই আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ও গবেষণায় উন্নতি হয়ে সারা বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াক। বিশ্ববিদ্যালয় হবে শিক্ষা গবেষণার জায়গা, যেখানে নতুন নতুন জ্ঞান আবিষ্কৃত হবে। আমরা নিজের জায়গা থেকে যদি নিজের কাজটা ভালোভাবে করি এটাই হবে সবচেয়ে বড় দেশপ্রেম।

এছাড়া এ অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ গণমাধ্যামকর্মীরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *