প্রথমবারের মতো কুয়েটে চ্যাম্পিয়ান ইসিই
কুয়েটের অর্গানাইজেশন অব কুয়েট স্পোর্টস (ওকেএস) আয়োজিত ২কে২০ ব্যাচের ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু হয় গত ৯ ই জুন।
ইলেকট্রনিক্স এন্ড কম্যুনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টকে ৩-১ এ হারিয়ে জয় দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করে ইসিই। সামি ১ টা এবং সোহানের ২ গোলে ইসিই ডিপার্টমেন্ট ৩ গোল অর্জন করে।
এরপর মেকাট্রনিক্স এবং ক্যামিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের যৌথ টিমের সাথে পরাজিত হয়েও দমে যায় নাই ইসিই।
কোয়ার্টার ফাইনালে ইউআরপি ডিপার্টমেন্টকে ২-০ গোলে হারিয়ে নিজেদের সক্ষমতা দেখিয়েছে ইসিই।
সেমি ফাইনালে ইইই ডিপার্টমেন্টের সাথে আক্রমনাত্মক খেলায় নিজেদের চিনিয়েছে ইসিই, ট্রাইব্রেকারে গড়ায় সেমি ফাইনালের খেলা।
ফাইনালে এসে ইসিই মুখোমুখি হয় মেকানিক্যালের সাথে। নির্দিষ্ট সময়ের খেলা শেষ হয় গোল শূণ্য ভাবে। ট্রাইব্রেকারে এসে ৪-৩ গোলে ব্যাবধান তৈরি করে চ্যাম্পিয়নের ট্রফি প্রথমবারের মতো হাতে তুলে নিলো ইসিই।
এই ব্যাপারে ইসিই টিমের ম্যানেজার মেহেদী হাসান রুমির কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন-
“ভাই ইসিই এর হয়ে ফার্স্ট কোনো টুর্নামেন্ট চ্যাম্পিয়ন, এইটার অনুভূতি কোনো ভাবেই কম না “!
অভিনন্দন ইসিই। আমরা যখন ইসিইতে পড়তাম তখন আমাদের ব্যাচের স্পোর্টস ফান্ডের দায়িত্ব এক কুখ্যাত দুর্নীতিবাজ ব্যাচমেটের কাধে ছিল। ক্রিয়াসামগ্রীর জন্য তোলা টাকা দিয়ে সে বিরিয়ানি খেত আর আমরা প্লাস্টিকের বোতল দিয়ে প্রাক্টিস করতাম। এছাড়া বায়াসড স্কোয়াড সিলেকশন, হ্যারি ম্যাগুয়ারের মত ডিফেন্ডার হয়েও নিজের টিমে থাকা, টিমে নিগ্রদের অধিপত্ত বিস্তার ইত্যাদি ছিল নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। ভাল লাগল যে বর্তমান ইসিই সেই কালো হাতের ছোবল থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছে।
“প্রথমবারের মতো কুয়েটে চ্যাম্পিয়ান ইসিই”
সত্যিই খুশির দিন। বাংলাদেশ দেশ যখন স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্ভোদনের মাধ্যমে জয়ের আনন্দে মেতে ছিল। তখন ইসিই বিভাগের জন্য এই জয় সত্যিই গৌরবের। কুয়েট পরিবারের সাবেক টেকনিক্যাল অফিসার হিসেবে এই গৌরব আমাদের সকলের।
জি. এম মনিরুজ্জামান
সেকশন অফিসার (গ্রেড-২)
পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
খুলনা-৯২০৩।