আলু চাষে লাভবান হতে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) উদ্ভাবিত আগামজাত ও উচ্চফলনশীল জাতগুলো নির্বাচন করা প্রয়োজন। এছাড়া প্রক্রিয়াজাতকরণ, রফতানি ও খাবার উপযোগী জাত নির্বাচন করাও হবে বুদ্ধিমানের কাজ।
প্রতি একর জমি আবাদ করতে ৬০০ কেজি বীজ আলুর দরকার হয়। এক একর জমিতে আলু আবাদ করতে ১৩০ কেজি ইউরিয়া, ৯০ কেজি টিএসপি, ১০০ কেজি এমওপি, ৬০ কেজি জিপসাম এবং ৬ কেজি দস্তা সার প্রয়োজন হয়।
তবে এ সারের পরিমাণ জমির অবস্থাভেদে কমবেশি হতে পারে। তাছাড়া একর প্রতি ৪-৫ টন জৈবসার ব্যবহার করলে ফলন অনেক বেশি পাওয়া যায়। আলু উৎপাদনে আগাছা পরিষ্কার, সেচ, সারের উপরি প্রয়োগ, মাটি আলগাকরণ বা কেলিতে মাটি তুলে দেওয়া, বালাই দমন, মালচিং করা আবশ্যকীয় কাজ। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিনা চাষে মালচিং দিয়ে আলু আবাদ করা যায়।
আগাম রফতানির জন্য এমনভাবে আলু রোপণ করা দরকার যাতে করে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে আলু সংগ্রহ করা যায়। নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে শুরু করে শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত কয়েক ধাপে রোপণ করলে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে শুরু করে মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত আলু তোলা যায়। এরূপ রোপণের ফলে দীর্ঘ সময় কাঁচা আলু সংরক্ষণ না করেও তাজা অবস্থায় রফতানি করা যায়।
মিষ্টিআলু
নদীর ধারে পলি মাটিযুক্ত জমি এবং বেলে দো-আঁশ প্রকৃতির মাটিতে মিষ্টি আলু ভালো ফলন দেয়। কমলা সুন্দরী, বারি মিষ্টিআলু-১২, বারি মিষ্টিআলু-১৪ বারি মিষ্টিআলু-১৫ ও বারি মিষ্টি আলু-১৬ আধুনিক মিষ্টি আলুর জাত। প্রতি বিঘা জমির জন্য তিন গিঁটযুক্ত ২২৫০-২৫০০ খণ্ড লতা পর্যাপ্ত। বিঘা প্রতি ৪-৫ টন গোবর/জৈবসার, ১৬ কেজি ইউরিয়া, ৪০ কেজি টিএসপি, ৬০ কেজি এমওপি সার দিতে হবে।
কৃষি সম্প্রসারণ সূত্র জানায়, ২০২০ সালে দেশে ৯০ লাখ টন আলু উৎপাদন হয়। অনুকূল আবহাওয়ার কারণে চলতি বছর আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। উৎপাদন এক কোটি ১০ লাখ টন পার হয়েছে।