৭ দফা দাবি বাস্তবায়ন চান ইভ্যালির গ্রাহক-সেলাররা

দীর্ঘদিন ধরে ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেল ও চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের মুক্তিসহ সাত দফা দাবি জানিয়ে আসছিলেন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানটির মার্চেন্ট ও ভোক্তারা। এসব দাবিতে বেশ কয়েকটি মানববন্ধন-সমাবেশও করেছেন তারা। কিন্তু এখনও দাবি বাস্তবায়ন হয়নি। তাই তারা মানববন্ধন থেকে নতুন করে আবার সাত দফা বাস্তবায়নের দাবি তুলেছেন।

শুক্রবার (২২ অক্টোবর) রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে ইভ্যালির সব গ্রাহক-সেলার ব্যানারে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানায় তারা।

তাদের অন্যান্য দাবিগুলো হলো— রাসেলকে নজরদারিতে রেখে ব্যবসা করার সুযোগ দিতে হবে; এস্ক্রো সিস্টেম চালু হওয়ার আগে অর্ডার করা পণ্য ডেলিভারি দিতে কমপক্ষে ছয় মাস সময় দিতে হবে; বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে ই-ক্যাব, পেমেন্ট গেটওয়ে, মার্চেন্ট এবং ভোক্তাদের প্রতিনিধিদের সমন্বয় কমিটি গঠন করতে হবে; করোনাকালীন সময়ে বিভিন্ন খাতের মতো ই-কমার্স প্লাটফর্মগুলোকে প্রণোদনা দিতে হবে; ই-কমার্স প্লাটফর্মগুলোকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে লাইসেন্স নিতে হবে ব্যাংক গ্যারান্টিসহ এবং ই-কমার্স বাংলাদেশের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় খাত, যেখানে হাজার হাজার উদ্যোক্তা সৃষ্টি হচ্ছে এবং লাখ লাখ কর্মসংস্থান হচ্ছে। এ সেক্টরকে সরকারিভাবে সুরক্ষা দিতে হবে।

মানববন্ধনে ইভ্যালি মার্চেন্ট ও ভোক্তাদের সমন্বয়ক মো. নাসির উদ্দিন বলেন, আদালতের প্রতি আমাদের যথেষ্ট শ্রদ্ধাবোধ রয়েছে। তবে আমাদের টাকাগুলো বাঁদরের রুটি ভাগের মতো হোক, সেটা আমরা চাই না। আমরা ভোক্তা-মার্চেন্ট সবাই তাকে সময় দিয়েছি। তাহলে সরকারের অসুবিধা কোথায়। আমরা এটার বিরুদ্ধে আদালতের শরণাপন্ন হব। ইভ্যালিকে অদৃশ্য কালো থাবার মধ্যে বন্ধ করে দেওয়ার একটা চেষ্টা চলছে। আমাদের দেশে যে পরিমাণ ই-কমার্স প্রদর্শন বেড়েছে, সেই হিসেবে ই-ক্যাবের ভূমিকা খুবই দুর্বল। রাষ্ট্রের স্বার্থে ই-ক্যাবকে আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।

মানববন্ধনে ইভ্যালির শতাধিক মার্চেন্ট ও ভোক্তা উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *