ডুমুর নরম ও মিষ্টি জাতীয় ফল। গ্রামে যেখানে সেখানে ডুমুর গাছ দেখা যায়। কিন্তু শহরে এই গাছ পাওয়া যায় না।
ডুমুর গাছ কেউ লাগায় না, আপনা আপনি হয়। তবে এটা ফুটতে সময় লাগে এবং বাজারে কিনতে পাওয়া যায় না।
ডুমুরের আবরণ পাতলা এবং অভ্যন্তরে অনেক ছোট ছোট বীজ রয়েছে। ডুমুরের পাতা খসখসে হয়।
ডুমুরের পুষ্টিগুণ-
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ডুমুরের রস খুবই উপকারী।
৩-৫ টি ডুমুর প্রতিদিন খেলে যৌন শক্তি বৃদ্ধি পায়।
মেয়েদের বেশি রক্তস্রাব হলে কচি ডুমুরের রসের সঙ্গে সামান্য মধু মিশিয়ে খেলে উপকার হয় এবং রক্তপিত্ত সারে।
ডুমুর পিত্ত ও আমাশয় রোগের জন্য বিশেষ উপকারী।
এতে অধিক পরিমাণে লোহা আছে (অতিরিক্ত খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে)।
ডুমুর রক্তপিত্ত, রক্তপড়া এবং রক্তহীনতা রোগে উপকারী।
জ্বরের পর ডুমুর রান্না করে খেলে এটি টনিকের কাজ করে।
দুধ ও চিনির সঙ্গে ডুমুরের রস খেলেও অধিক ঋতুস্রাব বন্ধ হয়।
আমাশয় হলে তিন দিন কটি ডুমুরের পাতা আতপ চালের সাথে চিবিয়ে খেলে ভালো হয়।
সাদা ও রক্ত আমাশয় হলে ডুমুর গাছের ছালের দুই চামচ রস এবং মধু মিশিয়ে দুই বেলা খেলে উপকার হয়।
মাথা ঘোরা রোগে ডুমুর ভাজি করে খেলে উপকার পাওয়া যায়।
অতিরিক্ত হেঁচকি উঠলে ডুমুরের বাইরের অংশ কেটে পানিতে এক ঘন্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে। তারপর ঐ পানি ছেকে এক চা চামচ করে খেলে হেচকি ওঠা বন্ধ হয়।
ডুমুর গাছের ছাল পানি সহ সিদ্ধ করে সেই পানি দ্বারা ত্বক ধেীত করলে চর্মের বিবর্ণতা এবং ক্ষত রোগে উপকার হয়।
দুধের সাথে সিদ্ধ করে প্রলেপ দিলে ফোড়া পাকে।
ক্ষুধামন্দা রোগে এক চা চামচ কাচা ডুমুরের রস খাওয়ার পর সেবন করলে ভাল ফল পাওয়া যায়।
সূত্র: আয়ুর্বেদিক টিপস